গণেশ আরাধনা তে ব্যবসায় লাভ হবেই। গণেশ মন্ত্র
এই লেখাটির মাধ্যমে আমি ব্যবসায় উন্নতি লাভের অব্যর্থ গণেশ আরাধনা ও মন্ত্র। এর সঠিক ব্যবহার আপনার ব্যবসায় অবশ্যই উন্নতি ঘটাবেই। বিস্তারিত পড়ুন
গণেশ আরাধনা : গনেশজীর আরাধনা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে সফলতা বহু প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। প্রত্যেক ব্যবসায়ী বন্ধুরা ভক্তি সাথে যথাসাধ্য গণেশজীর পূজা করে থাকেন। তিনি হলেন সিদ্ধিদাতা। গণেশজী কে তুষ্ট করতে পারলে তিনি আমাদের সিদ্ধি প্রদান করবেন। জীবনে এনে দেবেন সফলতা। তিনি সকল ভক্তদের বিঘ্ন নাশ করে থাকেন।
বর্তমানে অনেকেই ফোন করে জানতে চেয়ে ছিলেন কিভাবে ব্যবসায় সফলতা লাভ করা যায়। তাদের জন্য এবং যে সকল বন্ধুরা ব্যবসা করছেন অথচ সফলতা পাচ্ছেন না তাদের জন্য আজ গনেশজীর কিছু বিশেষ টোটকা নিয়ে এসেছি। বহু প্রাচীন গ্রন্থ থেকে আমি কয়েকটি বিশেষ উপায় তুলে ধরেছি। যার সঠিক ব্যবহার আপনাকে অবশ্যই সফলতা এনে দিতে পারবে।
1) উচ্ছিষ্ট গণেশ সাধনা – এই আরাধনা করা হয় কর্মে উন্নতি ও সকল মনস্কামনা পূরণের জন্য উচ্ছিষ্ট গণেশ মন্ত্র এক লক্ষ বার সঠিক নিয়ম মেনে করলে সমস্ত বাধা দূর হয়।
2) হরিদ্রা গনেশ আরাধনা – হরিদ্রা গনেশ আরাধনা করা হয় আর্থিক উন্নতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে। ধার দেনা থেকে মুক্তি পেতে অর্থাৎ ঋণ মুক্তির জন্য গণনা করা হয়।
3) বিঘ্ন নাশক গণেশ আরাধনা – প্রাচীন শাস্ত্র মতে গণেশ জি হলেন বিনাশকারী ও সিদ্ধিদাতা। তার আরাধনা মন্ত্র জপ করলে সকল বাধা দূরীভূত হয়।
4) শক্তি বিনায়ক গণেশ আরাধনা – শক্তি বিনায়ক গণেশ আরাধনা করা হয় প্রধানত গুপ্ত শত্রু থেকে নিজেকে ও নিজের ব্যবসা কে রক্ষা করতে ।
গণেশ আরাধনা কি ভাবে করবেন ?
আজ হরিদ্রা গনেশ পূজা আরাধনা বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। ব্যবসায়ীদের জন্য এই হরিদ্রা গনেশ আরাধনা খুবই ফলদায়ক। কারণ যেসকল ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের ঋণ বাধার দেনায় জড়িয়ে আছেন অথবা গুপ্ত শত্রু দ্বারা ব্যবসায় প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে পরিশ্রম অনুযায়ী ফল পাচ্ছেন না তাদের জন্য খুবই প্রাচীন শাস্ত্র ও বিভিন্ন পুরাণে উল্লেখ আছে। হরিদ্রা গনেশ আরাধনা বিধি আপনাদের জন্য শাস্ত্র অনুযায়ী উল্লেখ করলাম। এই সাধনাটি কমপক্ষে 15 দিন ধরে করতে হয়।
সাধনার উপকরণ – এই সাধনা করার জন্য আপনার হাতের তর্জনীর পরিমাণ কাঁচা হলুদের টুকরো, হলুদ ফুল, হলুদ রঙের কম্বল ( হলুদ কম্বল না পেলে সাধারণ কম্বলের আসন চলবে এবং তার উপরে একটি কাপড়ের আসন পেতে বসা যেতে পারে), হলুদ বস্ত্র নিজের পড়ার জন্য, জপের জন্য হরিদ্রা মালা আর যদি তা না পান তাহলে রুদ্রাক্ষের মালা, সাথে ধূপ ও ঘিয়ের প্রদীপ, আর প্রসাদ রূপে লাড্ডু।
প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট ধরে এই সাধনা করতে হবে। চলবে ১৫ দিন পর্যন্ত।
গণেশ আরাধনার পদ্ধতি
এবার আসছি কিভাবে সাধনা করতে হবে সেই পদ্ধতি নিয়ে। কমপক্ষে 15 দিন ধরে একই নিয়মে আরাধনা করে যেতে হবে। এই 15 দিন সাধনা চলাকালীন নিরামিষ ভোজন এবং যথাসাধ্য ব্রহ্মচর্য পালন করতে হবে। একটি কাঁচা হলুদ ( আগেই উল্লেখ করা হয়েছে নিজের হাতের তর্জনী আঙুলের পরিমান ) নিয়ে তার মধ্যে গণেশ মূর্তি কল্পনা করতে হবে। অনেকে আবার ওই আঙ্গুল পরিমাণ কাঁচা হলুদে গণেশের মূর্তি বানিয়ে নেয়।
আরাধনা করার সময় আপনাকে হলুদ বর্ণের বস্ত্র পরিধান করতে হবে এবং উপকরণে উল্লেখ করা হয়েছিল হলুদ রঙের কম্বল অথবা সাধারণ কম্বলের উপর ওপর একটি হলুদ কাপড় পেতে তার ওপর বসে শুদ্ধাচারে শুদ্ধমনে ধুপ দ্বীপ জ্বালিয়ে হলুদ লাড্ডু প্রসাদ নিবেদন করে গনেশ জির উদ্দেশ্যে পঞ্চ উপচারে পূজা করতে হবে। এইভাবে প্রতিদিন 15 দিন পর্যন্ত পুজো করে 108 বার গণেশজীর গুপ্ত মন্ত্র জপ করতে হবে। আবার বলছি সারাদিনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় আপনি বেছে নেবেন এই সাধনা করার জন্য।কমপক্ষে 15 মিনিট। প্রথম প্রথম ১৫ মিনিট লাগবে ক্রমশ সময়টা আরো কম হয়ে যাবে।
পূজা মন্ত্র ওঁ হুং গং গ্লৌং হরিদ্রাগণপতয়ে নমঃ
জপ মন্ত্র ওঁ হুং গং গ্লৌং হরিদ্রাগণপতয়ে নমঃ বরদ বরদ সর্বজন স্তম্ভয় স্তম্ভয় স্বাহাঃ
এইভাবে 15 দিন যাবত পূজা ও জপ সম্প্রদান করার পর 16 দিনের দিন গণেশজীর উদ্দেশ্যে ২১টি দুর্বা তার সাথে অশ্বগন্ধা মিশিয়ে প্রদান করতে হবে। তবে ক্রিয়াটি শুরু করার আগে সঠিকভাবে নিজের নাম গোত্র পাঠ করে সংকল্প করে নিতে হবে। তারপরে ঐ হলুদ কাপড় সমেত গণেশজীর হলুদের টুকরোটি খুব গোপন ভাবে আপনার ব্যবসার স্থানে রেখে দেবেন।
আরো পড়ুন সাতটি বশীকরণের টোটকা
এই ভাবে সঠিক নিয়মে করলে আপনার ব্যবসায় বাধা দূর হবে আর্থিক উন্নতি হবে গুপ্ত শত্রু পরাজয় ঘটবে এমন থেকে মুক্তি মিলবে করে। দেখুন উপকার পাবেন। নিজে উপকার পেলে অন্যকেও জানাতে ভুলবেন না। যদি আরো বিশদ জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাকে জানাতে পারেন। সকলে ভালো থাকুন এই কামনা করি। ওম নমো শ্রী শ্রী সিদ্ধিদাতা গনেশায় নমঃ