গণেশ সাধনায় হবে ব্যবসায় উন্নতি
গণেশ পূজা ও আরাধনায় ব্যবসায়িক উন্নতি কিভাবে করেবন তা গনেশ পূজা ও আরাধনা পদ্ধতি সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ গনেশ মন্ত্র প্রয়োগ বিধি সহ
এইখানে কিল্ক করুন বিনামূল্যে আপনার কোষ্ঠী পেতে আজই যোগাযোগ করুন
গণেশজীর আরাধনা ও ব্যবসা বাণিজ্যে সফলতা বহু প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। প্রত্যেক ব্যবসায়ি বন্ধুরা অতি ভক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে যথাসাধ্য ভগবান গণেশ আরাধনা করে থাকেন। ভগবান গণেশ হলেন সিদ্ধিদাতা।
আরো পড়ুন বাংলা নববর্ষ 1427 সালে ব্যবসায়িদের জন্য রাশি অনুযায়ী সৌভাগ্য লাভের Business টিপস্
গণেশ কে প্রসন্ন করতে পারলে তিনি আমাদের সিদ্ধি প্রদান করবেন। আমাদের জীবনে এনে দেবেন সফলতা। গণেশ কে বিঘ্ননাশকও বলা হয়। উনি নিজ গুণে ভক্তের সকল বিঘ্ননাশ করেন।
আরো পড়ুন Free Astrological Remedy সমস্যা সমাধানের উপায়
বহু প্রাচীন গ্রন্থ থেকে আমি সকলকের জন্য কয়েকটি বিশেষ উপায় তুলে ধরছি যার সঠিক ব্যবহার আপনাকে অবশ্যই সফলতা এনে দিতে পারবে।
- উচ্ছিৎ গনেশ আরাধানা ঃ এই আরাধনা করা হয় কর্মে উন্নতি ও সকল মনোস্কামনা পূরণের জন্য। উচ্ছিৎ গণেশ মন্ত্র এক লক্ষ বার সঠিক নিয়ম মেনে জপ করলে সমস্ত বাধা দূর হয়।
- হরিদ্রা গণেশ আরাধনা ঃ হরিদ্রা গণেশ আরাধানা করা হয় আর্থিক উন্নতি, শত্রুদমন ইত্যাদি ক্ষেত্রে। অনেকে ধার দেনা থেকে মুক্তি পেতে অর্থাৎ ঋণমুক্তির জন্য হরিদ্রা গণেশ আরাধনা করে থাকেন।
- বিঘ্ননাশক গণেশ আরাধনা ঃ প্রাচীন শাস্ত্রমতে গণেশজী হলেন বিঘ্ননাশকারী ও সিদ্ধিদাতা। তার আরাধানা বা মন্ত্র জপ করলে দ্রুত সকল বাধা দূরীভুত হয়।
- শক্তি বিনায়ক গণেশ আরাধানা ঃ শক্তি বিনায়ক গণেশ আরাধনা করা হয় প্রধানত গুপ্ত শত্রুর থেকে নিজেকে রক্ষা করতে, নিজের ব্যবসাকে রক্ষা করতে।
কিভাবে গণেশজীর আরাধনা করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোাচনা করা হল।
ব্যবসায়ীদের জন্য এই হরিদ্রা গণেশ আরাধনা খুবই ফলদায়ক। কারণ, যে সকল ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ঋণ বা ধার দেনায় জড়িত আছেন বা গুপ্তশত্রুরা আপনার ব্যবসায় ক্ষতি করছে বা পরিশ্রম অনুযায়ী ফল পাচ্ছেন না! তাদের জন্য এই প্রয়োগ ব্রহ্মাস্ত্র সরূপ। শাস্ত্রানুযায়ী এর প্রয়োগ বিধি উল্লেখ করা হল।
আরো পড়ুন Parad Shiv Linga পূজায় হবে সমস্যার সমাধান
আরাধনার সময় কাল – কমপক্ষে 15 দিন
উপকরণ ঃ আঙুল পরিমান হলুদের টুকরো, হলুদ ফুল, হলুদ কম্বলের আসন ( অভাবে কম্বলের আসন ও একটি হলুদ কাপড় আসনের ওপরে পাতার জন্য), হরিদ্রা মালা ( অভাবে রুদ্রাক্ষের মালা), ধূপ, ঘিয়ের প্রদীপ, হলুদ লাড্ডু পাঁচটি।
আরাধনার পদ্ধতি ঃ কমপক্ষে 15 দিন সময় কাল ধরে এই সাধনা করতে হয়। ঐ 15 দিন আপনাকে কঠোর ভাবে নিরামিষ ভোজন ও ব্রহ্মচার্য পালন করতে হবে। একটি কাঁচা হলুদ এক আঙুল পরিমান নিয়ে গণেশজী একটি মূর্তি কল্পনা করে ( অনেকে আঙুল পরিমান কাঁচা হলুদ দিয়ো গণেশজীর একরি মূর্তিও বানিয়ে নিতে পারেন ) একটি হলুদ কাপড়ের আসনে প্রতিষ্ঠা করুন। একটা ছোট চৌকি নিয়ে তার ওপরে হলুদ কাপড়টি রেখে তারওপরে হলুদের টুকরোটি স্থাপন করলে ভালো হয়। এবার হলুদ রঙের বস্ত্র পরিধান পরিধান করে এই আরাধনা বা পূজা করা উচিত। হলুদ রঙের কম্বল না কম্বলের ওপরে হলুদ কাপড় পেতে নিয়ে তার ওপর শুদ্ধ মনে ধূপ, দীপ জ্বেলে হলুদ লাড্ডু ভোগ নিবেদন করে গণেশজীর উদ্দেশ্যে পঞ্চ উপাচারে পূজা করতে হবে। এই ভাবে প্রতিদিন 15 দিন পর্যন্ত একই ভাবে একই সময় পূজা নিবেদন চলবে। পূজার আগে রীতি মেনে সংকল্প করতে হবে প্রতিদিন। তারপর একটি রুদ্রাক্ষের মালায় হরিদ্রা গণেশজী মন্ত্র 108 বার করে 15 দিন ধরে জপ করতে হবে।
পূজা মন্ত্র ঃ ওঁ হুং গং গ্লৌং হরিদ্রাগণপতয়ে নমঃ
জপ মন্ত্র ঃ ওঁ হুং গং গ্লৌং হরিদ্রাগণপতয়ে বরদ বরদ সর্বজন স্তম্ভয় স্তম্ভয় স্বাহাঃ
গণেশজীর গায়ত্রী মন্ত্র ঃ ওঁ তৎপুরুষায় বিদ্মহে বক্রতুন্ডায় ধীমহি তন্নোদন্তী প্রচদয়াৎ।
এইভাবে 15 দিন ধরে পূজা ও জপ কর্ম নিবেদন করতে হবে। এরপর 16 দিনের দিন ভগবান গণেশ এর উদ্দেশ্যে ঘাস ফুল অভাবে দুর্বায় অষ্টগন্ধা মিশিয়ে হোমে আহুতি প্রদান করতে হবে। তবে ক্রিয়াটি শুরু করার আগে সঠিক নিয়মে নিজের নাম গোত্র পাঠ করে সংকল্প করে নিতে হবে।
বিঃ দ্র ঃ যদি কেউ এই সাধনা করতে চান এবং বিষদে জানতে চান তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন আমি শাস্ত্রমতে আপনাদের গাইড করে দিতে পারি।
যদি সঠিক নিয়ম মেনে হরিদ্রা গণেশ আরাধনা করা যায় তাহলে অবশ্যই ব্যবসায়, উন্নতি, গুপ্ত শত্রু পরাজয়, ঋণমুক্তি হবে। করে দেখুন উপকার পাবেন। এই সাধনা করতে বিশেষ তেমন খরচও নেই।
নিজে উপকার পেলে অপরকেও শেয়ার করুন।
ওঁ নমঃ শ্রী শ্রী সিদ্ধি দাতা গণেশায় নমঃ