2023 মহাশিবরাত্রি পূজাপদ্ধতি মন্ত্র ও নিয়ম সময়সূচী সাথে টোটকা
জেনে নিন মহাশিবরাত্রি 2023 এর সময় সূচী সহ বিশেষ পূজা পদ্ধতি মন্ত্র, নিয়ম ও টোটকা
2023 মহাশিবরাত্রি পূজাপদ্ধতি – জয় ভোলেনাথ। ওঁ নমঃ শিবায়। হর হর মহাদেব। 2023 মহাশিবরাত্রি মহাযোগে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে জানাই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। দেবাদিদেব মহাদেবের আর্শীবাদ আপনার ও আপনার পরিবারের ওপর বর্ষিত হোক। এই কামনা করে এই প্রবন্ধটি লিখতে শুরু করলাম। আমি আপনি আমরা সকল শিবভক্ত এই বিশেষ দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকি। আপনাদের সকলের মনোকামনা পূরণ করতে। দেবাদিদেব শিবের আর্শীবাদ কামানার্থে 2023 মহাশিবরাত্রি পূজাপদ্ধতি বিশেষ পূজা পদ্ধতি ( উপকরণ, মন্ত্র, নিয়ম সহ সময়সূচী) উল্লেখ করছি। যাতে আপনারা সহজ ভাবে এবং সঠিক ভাবে মহাশিবরাত্রি 2023 এই বিশেষ তিথিতে আপনাদের মনোকামনা জানিয়ে পূজা নিবেদন করতে পারেন।
মহাশিবরাত্রি 2023 এই সময় সূচী
মহাশিবরাত্রি পূজাপদ্ধতি – আগে জেনে নিন মহাশিবরাত্রি 2023 এই সময় সূচী এবং চারটি প্রহেরর নির্ঘন্ট। মোট চারটি প্রহর ধরে ফাল্গুন মাসে কৃষ্ণ পক্ষের চর্তুদর্শী তিথিতে মোট চারটি প্রহর ধরে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আগের দিন অনেকেই নিরামিষ আহার করেন। এবং নিজের মনমন্দিরে দেবাদিদেবকে আহ্বান করতে থাকেন।
ফাল্গুন মাসে কৃষ্ণ পক্ষের চর্তুদর্শী তিথি ১৮ই ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ৮ টা বেজে ২ মিনিট থেকে শুরু করে ১৯শে ফেব্রুয়ারি বিকেল ০৪.১৮ পর্যন্ত থাকছে। তারপরে অমাবস্যা শুরু হচ্ছে।
প্রথম প্রহর – ১৮ই ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ৮. ০২ মিনিট থেকে ৮.৪২ মিনিট পর্যন্ত।
দ্বিতীয় প্রহর – রাত ৮.৪২ মিনিট থেকে রাত ১১.৫0 মিনিট পর্যন্ত।
তৃতীয় প্রহর – রাত ১১.৫0 মিনিট থেকে রাত ২.৫৮ মিনিট পর্যন্ত।
চতুর্থ প্রহর – রাত ২.৫৮ মিনিট থেকে পরের দিন সকাল ৬.0৬ মিনিট পর্যন্ত।
পারনের সময় – ১৯শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৬.0৬ মিনিট থেকে দুপুর ২.৪৩ পর্যন্ত।
মহাশিব রাত্রিতে পূজার উপকরণ
- একটি প্রাণ প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ। ( অনেকের পারদ শিবলিঙ্গেও মহাশিবরাত্রি পূজা নিবেদন করেন )
- শিবলিঙ্গ স্নান করানোর মতো এক ঘটি জল। ( ঘটি তামার হলে ভালো হয় )
- রুদ্রাভিষিকের জন্য কাচা দুধ।
- দই
- ঘিত
- মধু
- একটি পাত্র (থালা)।
- একটি গ্লাস।
- কোশাকুশি।
- অষ্টগন্ধা।
- আতপ চাল।
- কয়েকটি ফুল (নীলকন্ঠ ফুল, ধুতুরা ফুল, আকন্দ ফুল ও অপরাজিতা ফুল হলে ভালো হয়)।
- বেলপাতা।
- পাঁচ রকমের ফল। এবং ধুতরা ফল ( কাঁটা যুক্ত যে ফল হয় )
- ধূপ।
- প্রদীপ। ( ঘিয়ের প্রদীপ অতি উত্তম )
- নৈবেদ্য ( সাদা বাতাসা সহ পাঁচ রকমের মিষ্টি) ও পানীয় জল।
- সিদ্ধি।
- পৈতা।
- আপনার বাসার জন্য আসন। ( মনে রাখবেন আপনার আসন যেন অন্য কোনো ব্যক্তি ব্যবহার না করে )
রাশি লগ্ন অনুযায়ী বিশেষ কিছু ক্রিয়ার জন্য কালো তিল, কপূর ইত্যাদি দ্রব্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ওপরে উল্লেখিত পূজার উপাচার বা দ্রব্য গুলির মধ্যে কোনো একটির জোগাড় যদি আপনি নাও করতে পারেন তাতে কোনো অসুবিধা নেই। আপনি সেই সামগ্রীটার নাম নিয়ে পূজার সময় একটু জল ব্যবহার করতে পারেন। আসলে সমগ্রটাই আপনার ভক্তি, আস্থা, বিশ্বাস ও নিষ্ঠার ওপর নির্ভর করছে।
মনে রাখবেন সব থেকে বড় উপকরণ হল ভক্তি, বিশ্বাস, একাগ্রতা ও ইচ্ছাশক্তি। এই গুলোর যেন অভাব না হয়। আর মনোকামনা যা পূজোর আগে বিধিপূর্বক সংকল্প করে নিতে হয়।
2023 মহাশিবরাত্রি পূজাপদ্ধতি
মনে রাখতে হবে পুজার কয়েক মিনিট বা কয়েক ঘণ্টা আপনি আপনাকে দেবত্বে উন্নত করার প্রয়াস পাচ্ছেন , কেননা যে দেব দেবীর পুজা করতে চলেছেন , কিছুক্ষণের জন্য হলেও আপনার প্রান ও মন সেই দেব দেবীর ভাবে ভাবান্বিত করতে হবে । কারন পুজক আর পুজ্য পুজার সময় এক ও অভিন্ন ।এই সময় জীবতত্বে থেকে শিবতত্বে উন্নীত করতে হবে নিজেকে।
পূজার আগে একটি শুদ্ধ বস্ত্র ধারন করুন। এবং নিজের মন ও দেহ কে শুদ্ধ রাখুন। কম কথা বলুন। ঈশ্বরের চিন্তায় মগ্ন থাকুন।
আচমন – নিজ আসনে পূর্ব বা উত্তর মূখে বসতে হবে। তারপরে বাম হাতে জল নিয়ে ডান হাতের আঙুল দিয়ে সেই জল নিজের মুখে নিক্ষেপ করুন। ওঁ নমঃ শিবায় মন্ত্র দ্বারা।
দেহ ও মন শুদ্ধিকরণ নিয়ম ও মন্ত্র –
তারপরে হাত জোর করে নিচের মন্ত্র পাঠ করুন।
ওঁ অপবিত্র পবিত্রবা সর্বাবস্থাং গতোহপি বা। য: স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যভ্যন্তরো শুচি।।
আসন শুদ্ধিকরণ নিয়ম ও মন্ত্র –
যে আসনে বসে পূজা নিবেদন করবেন, সেই আসনের নিজে জল দিয়ে আঙুল দ্বারা নিম্নে ত্রিকোণ মণ্ডল অঙ্কন করতে হবে। তারপরে আসনের উপর একটী ফুল দিয়ে পাঠ করবেন, এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ হ্রীঁ আধার-শক্তি-কমলাসনায় নমঃ।
তারপরে আসনের দুই দিক ধরে পাঠ করবেন — আসনমন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠঋষিঃ সুতলং ছন্দঃ কূর্মো দেবতা আসনোপবেশনে বিনিয়োগঃ। এবং হাত জোড় করে পাঠ করিবে — ওঁ পৃথ্বি ত্বয়া ধৃতা লোকা দেবি ত্বং বিষ্ণুনা ধৃতা। ত্বঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরু চাসনম্।
কর-শুদ্ধিকরণ পদ্ধতি ও নিয়ম –
ঐং মন্ত্র দ্বারা একটি রক্তবর্ণ পুষ্প নিয়ে “ওঁ” এই মন্ত্রে ঐ পুষ্প করদ্বয়ে পেষণ করতে করতে “হ্সৌঁ” মন্ত্রে ঐ পুষ্প ঈশানকোণে প্রক্ষেপ করতে হবে।
আরো পড়ুন শিবের মন্ত্র শিবের ইচ্ছাপূরণ মন্ত্র আপনার মনোস্কামনা পুরোন হবেই হবে
জল-শুদ্ধি
অঙ্কুশমুদ্রা দ্বারা কোশার জলে তীর্থ আবাহন করিয়া পাঠি করিবে,—
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি।
নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেঽস্মিন্ সন্নিধিং কুরু॥
পুষ্প-শুদ্ধি
পুষ্পগুলি যথাসম্ভব স্পর্শ করে পাঠ করবে ( নিরাচ মুদ্রায় ) —
ওঁ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে। পুষ্পচয়াবকীর্ণে চ হূং ফট্ স্বাহা॥
স্বস্তি বাচন –
ওঁ কর্ত্তব্যেঽস্মিন শ্রীশিবপূজা কর্মণি ওঁ পুন্যহং ভবন্তোঽধিব্রুবন্তু। ওঁ পুন্যহং। ওঁ পুন্যহং। ওঁ পুন্যহং।
ওঁ কর্ত্তব্যেঽস্মিন শ্রীশিবপূজা কর্মণি ওঁ স্বস্তি ভবন্তোঽধিব্রুবন্তু। ওঁ স্বস্তি। ওঁ স্বস্তি। ওঁ স্বস্তি।
ওঁ কর্ত্তব্যেঽস্মিন শ্রীশিবপূজা কর্মণি ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তোঽধিব্রুবন্তু। ওঁ ঋদ্ধ্যতাম্ ওঁ ঋদ্ধ্যতাম্ ওঁ ঋদ্ধ্যতাম্।
তারপরে হাত জোড় করে
ওঁ সূর্য্যঃ সোমো যমঃ কালঃ সন্ধ্যে ভূতান্যহঃক্ষপাঃ। পবনো দিক্পতির্ভূমিরাকাশং খচরামরাঃ। ব্রাহ্মং শাসনমাস্থায় কল্পধ্বমিহ সন্নিধিম্॥ ওঁ তৎসৎ অয়মারম্ভঃ শুভায় ভবতু॥
ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ। স্বস্তি নস্তার্ক্ষ্যো অরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দধাতু॥ ওঁ গণানাং ত্বা গণপতিহঁং হবামহে, ওঁ প্রিয়াণাং ত্বা প্রিয়পতিহঁং হবামহে, ওঁ নিধিনাং ত্বা নিধিপতিহঁং হবামহে। বসো মম॥ ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি॥
তারপরে পূজার উদ্দেশ্য এবং মনোকামনা জানিয়ে সংকল্প করতে হবে
2023 মহাশিবরাত্রি পূজাপদ্ধতি
এখানে সাধারন পূজা পদ্ধতি উল্লেখ করলাম –
এরপরে দীক্ষিত ব্যক্তিগত নিজ নিজ গুরুদেবকে পূজা করবেন। (পঞ্চোপচারে পূজা )
তারপরে সূর্যদেবকে পূজা করবেন – ( সচন্দন ফুল নিয়ে ) এতে গন্ধপুষ্পে হ্রীং সূর্যদেবায় নমঃ। হাতজোড় করে সূর্য প্রনাম মন্ত্র পাঠ করতে হবে। ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম । ধান্তারীং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্ ।।”
গণেশজী কে পূজা নিবেদন – ( সচন্দন ফুল নিয়ে ) এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ গং গণপতয়ে নমঃ। হাতজোড় করে গণেশজীর প্রনাম মন্ত্র পাঠ করতে হবে। একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননম্। বিঘ্ননাশককরং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম্।।
বিষ্ণুদেব কে পূজা নিবেদন – ( সচন্দন ফুল নিয়ে ) এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ শ্রীবিষ্ণবে নমঃ। হাতজোড় করে বিষ্ণুদেবের প্রনাম মন্ত্র পাঠ করতে হবে। ওঁ নমো ব্রহ্মণ্যদেবায় গোব্রাহ্মণহিতায় চ। জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।।”
দুর্গাদেবী কে পূজা নিবেদন – ( সচন্দন ফুল নিয়ে ) এতে গন্ধপুষ্পে হ্রীং দুর্গায় নমঃ। হাতজোড় করে দুর্গাদেবীর প্রনাম মন্ত্র পাঠ করতে হবে।
ওঁ সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে | শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়নি নমোহস্তুতে ||
সৃষ্টিস্থিতি বিনাশানাং শক্তিভূতে সনাতনি | গুণাশ্রয়ে গুণময়ে নারায়নি নমোহস্তুতে ||
সাধারণ ধ্যানমন্ত্র
ওঁ ধ্যায়েন্নিত্যং মহেশং রজতগিরিনিভং চারুচন্দ্রাবতংসং
রত্নাকল্পোজ্জ্বলাঙ্গং পরশুমৃগবরাভীতিহস্তং প্রসন্নম্॥
পদ্মাসীনং সমন্তাত্ স্তুতমমরগণৈর্ব্যাঘ্রকৃত্তিং বসানং।
বিশ্বাদ্যং বিশ্ববীজং নিখিলভয়হরং পঞ্চবক্ত্রং ত্রিনেত্রম্॥
বাণেশ্বর শিবের ধ্যান
ঐঁ প্রমত্তং শক্তিসংযুক্তং বাণাখ্যঞ্চ মহাপ্রভাং।
কামবাণান্বিতং দেবং সংসারদহনক্ষমম্॥
শৃঙ্গারাদি-রসোল্লাসং বাণাখ্যং পরমেশ্বরম্।
এবং ধ্যাত্বা বাণলিঙ্গং যজেত্তং পরমং শিবম্॥
ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর মুক্ষীয় মামৃতাৎ॥
তারপরে ফুল বেলপাতা শিবলিঙ্গে অর্পন করে। ঘটিতে জল নিয়ে পুনরায়
ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর মুক্ষীয় মামৃতাৎ॥
ওঁ তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ॥
এই মন্ত্র পাঠ করে শিবলিঙ্গকে স্নান করাবেন।
তারপরে ( অগুরু মিশ্রন করে ) গন্ধপুষ্প নিয়ে – এতে গন্ধপুষ্প ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর মুক্ষীয় মামৃতাৎ॥ ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ এই মন্ত্রে শিবলিঙ্গে পুষ্প নিবেদন করুন।
তারপরে সচন্দন ( অষ্টগন্ধা ) গন্ধপুষ্প নিয়ে – এতে সচন্দন গন্ধপুষ্প ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর মুক্ষীয় মামৃতাৎ॥ ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ এই মন্ত্রে শিবলিঙ্গে পুষ্প নিবেদন করুন।
তারপরে সচন্দন ( অষ্টগন্ধা ) বিল্বপত্র নিয়ে – এতে সচন্দন বিল্বপত্র ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর মুক্ষীয় মামৃতাৎ॥ ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ এই মন্ত্রে শিবলিঙ্গে বিল্বপ্ত্র নিবেদন করুন।
তারপরে ধূপ নিয়ে – এতে ধূপং ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর মুক্ষীয় মামৃতাৎ॥ ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ এই মন্ত্রে শিবলিঙ্গে ধূপ নিবেদন করুন।
তারপরে দীপ নিয়ে – এতে দীপং ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর মুক্ষীয় মামৃতাৎ॥ ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ এই মন্ত্রে শিবলিঙ্গে দীপ নিবেদন করুন।
তারপরে নৈবেদ্য নিয়ে – এষ সোপকরনং নৈবিদ্যং ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর মুক্ষীয় মামৃতাৎ॥ ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ এই মন্ত্রে শিবলিঙ্গে নৈবেদ্য নিবেদন করুন।
বি. দ্র. – শুরুতে যে ভাবে পূজা পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। তা চতুর্দশী তিথিতে শুরু হলে করে নিতে হবে। তারপরে প্রহর ধরে ধরে পূজা জপ ইত্যাদি করতে হবে।
এবার চারটি প্রহরের পূজা পদ্ধতি উল্লেখ করলাম ( 2023 মহাশিবরাত্রি পূজাপদ্ধতি )
শাস্ত্র মতে শিবরাত্রির রাত্রিবেলা চার প্রহর ধরে দুধ, দই, ঘৃত ও মধু দিয়ে শিবলিঙ্গকে অভিষেক বা স্নান করাতে হয়। এর মধ্যে :-
- প্রথম প্রহরে দুধ দিয়ে,
- দ্বিতীয় প্রহরে দই দিয়ে,
- তৃতীয় প্রহরে ঘৃত বা ঘৃ দিয়ে
- চতুর্থ প্রহরে মধু দিয়ে শিবলিঙ্গকে স্নান করাতে হয়।
প্রথম প্রহরের পূজা – সময় ১৮ই ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ৮. ০২ মিনিট থেকে ৮.৪২ মিনিট পর্যন্ত।
প্রথম প্রহরে দুধ দিয়ে স্নান করতে হবে। দুধ দ্বারা স্নানের মন্ত্র: ‘ইদং স্নানীয় দুগ্ধং ওঁ হৌং ঈশানায় নমঃ’৷ এই মন্ত্রটি বলে শিবলিঙ্গকে দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে। একটি অর্ঘ্য নিবেদন করবেন। এবং অর্ঘ্য দানের মন্ত্র পাঠ করবেন –
তারপরে জল দিয়ে স্নান করাতে হবে এই মন্ত্রে –
ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর মুক্ষীয় মামৃতাৎ॥
ওঁ তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ॥
এবং রদ্রাক্ষের মালায় কমপক্ষে 108 বার ওঁ নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করতে ভুলবেন না
দ্বিতীয় প্রহরের পূজা – রাত ৮.৪২ মিনিট থেকে রাত ১১.৫0 মিনিট পর্যন্ত।
দ্বিতীয় প্রহরের পুজোতে দই দিয়ে স্নানের মন্ত্র: ‘ইদং স্নানীয় দধিং ওঁ হৌং অঘোরোয় নমঃ’ ৷ এই মন্ত্রটি বলে শিবলিঙ্গকে দই দিয়ে স্নান করিয়ে। একটি অর্ঘ্য নিবেদন করবেন। এবং অর্ঘ্য দানের মন্ত্র পাঠ
তারপরে জল দিয়ে স্নান করাতে হবে এই মন্ত্রে –
ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর মুক্ষীয় মামৃতাৎ॥
ওঁ তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ॥
তারপরে জল দিয়ে স্নান করাতে হবে এই মন্ত্রে –
ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর মুক্ষীয় মামৃতাৎ॥
ওঁ তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ॥
চতুর্থ প্রহরের পূজা – রাত ২.৫৮ মিনিট থেকে পরের দিন সকাল ৬.0৬ মিনিট পর্যন্ত।
চতুর্থ প্রহরের পুজোতে মধু দিয়ে স্নানের মন্ত্র: ‘ইদং স্নানীয় মধুং ওঁ হৌং সদ্যজাতায় নমঃ’৷ এই মন্ত্রটি বলে শিবলিঙ্গকে মধু দিয়ে স্নান করিয়ে। একটি অর্ঘ্য নিবেদন করবেন। এবং অর্ঘ্য দানের মন্ত্র পাঠ
তারপরে জল দিয়ে স্নান করাতে হবে এই মন্ত্রে –
ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর মুক্ষীয় মামৃতাৎ॥
ওঁ তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ॥