নিজের গ্রহদোষ নিজেই কাটান। সমস্যার সমাধান
নিজের গ্রহদোষ নিজেই কাটান বিস্তারিত জানুন
grahadosh – মানব জীবনে জন্মছক বিশ্লেষণ করলে অথবা হস্তরেখা বিচার করলে দেখা যায় অনেকেরই কিছু না কিছু গ্রহদোষ রয়েছে। অর্থাৎ কিছু শুভ গ্রহ এবং কিছু অশুভ গ্রহের প্রভাব দেখা যায়। সমস্যা থাকে সমাধানও রয়েছে, তবে আগে ভালো করে আপনার জন্মছক অথবা হস্তরেখা বিচার করার প্রয়োজন আছে।
নিজের গ্রহদোষ কিভাবে কাটাবেন জেনে নিন
একজন জ্যোতিষী বা তান্ত্রিকের কাছে প্রতিকারের জন্য বেশ কিছু অর্থ খরচ করতে হয়। কিন্তু যাদের তেমন অর্থ নেই তারা তাহলে কি করে নিজেদের অশুভ গ্রহদোষের প্রতিকার করবেন ?
আজ এমন কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে, যাতে এই উপায় গুলি আপনি বা আপনারা সঠিক ভাবে প্রয়োগ করলে অবশ্যই লাভবান হবেন।
বাড়িতে বাস্তুদোষ থাকে ঃ
তাহলে আপনার অপনাদের বাড়ির বা যে জায়গায় আপনি বসবাস করছেন সেই স্থানের আযতনের অনুপাতে একটি পারদ শিবলিঙ্গ জোগার করে তাতে সঠিক ভাবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে প্রতিদিন স্নানের পরে ঐ প্রাণ প্রতিষ্ঠা যুক্ত পারদ শিবলিঙ্গের সামনে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে রুদ্রাক্ষের মালায় 108 বার এই মন্ত্রটি জপ করবেন।
মন্ত্রটি হল ঃ ওঁ নমঃ ভগবতে পারদেশ্বরায় শিবায় নমঃ
মন্ত্র জপ করার আগে রীতি মেনে মহাদেবকে নিজের মনোস্কামনা জানাতে ভুলবেন না। এই ভাবে 45 দিন একই নিয়ম মেনে ঐ মন্ত্র জপ করলে অবশ্যই আপনার আত্ম শক্তির বিকাশ হবে এবং বাড়ির বাস্তুদোষের প্রতিকার হবে। তবে প্রতহ্য যদি সম্ভব হয় জপ সংখ্যা বাড়াতে পারেন, এতে আপনার উপকারই হবে। মন্ত্রজপ সকল কিছুর উর্দ্ধে মনে রাখবেন।
মাঙ্গলিক বা ভৌমদোষ ঃ
জন্মছকে মঙ্গল গ্রহের বিশেষ কিছু অবস্থানের সাপেক্ষে মানব জীবনে মঙ্গলের কিছু কুপ্রভাব তৈরী হয়। যার প্রভাবে প্রধানত বৈবাহিক সুখের অর্থাৎ দাম্পত্য জীবনে হানি হতে পারে। অনেক সময় দেখা গেছে, মাঙ্গলিক বা ভৌমদোষের প্রভাবে বহু পুরাতন দাম্পত্য জীবন বিচ্ছেদে পরিণত হয়েছে। কি ভাবে ঘোরয়া পদ্ধতিতে এ দোষের কুপ্রভাব প্রশমিত করবেন তা নিয়ে একটু আলোচনা করা হচ্ছে।
প্রথমে জেনে নিন, আপনার জন্মছকে মঙ্গলের মাঙ্গলিক অবস্থান ও তার কি রূপ ফলাফল প্রাপ্ত হতে পারে এবং সেই সাথে আপনার জন্মছক অনুযায়ী দশা-অন্তরদশা। মাঙ্গলিক দোষের ক্ষেত্রে প্রতহ্য হনুমান চল্লীশা পাঠ আপনার জন্য প্রথম কর্তব্য। প্রতি মঙ্গলবার শিবলিঙ্গের সামনে কর্পূর দিয়ে আরতি করবেন। মঙ্গলবার আমিষ খাদ্য পরিত্যাগ করবেন। সাথে একটি ক্রিয়া উল্লেখ করছি, যা বিশেষ ফলপ্রদ বলেই পরিচিত।
মঙ্গলবার যে কোন সময় ( সন্ধ্যা হলে খুবই ভালো ), হনুমানজীর পূজা দেবেন। লাড্ডু ভোগ এবং তুলসী পাতার মালা যথাসাধ্য প্রদান করবেন। ঐ দিন লাল বস্ত্র পরিধান করবেন না। হনুমানজীর মন্দির থেকে মেটে সিন্দুর নিয়ে এসে প্রতহ্য স্নানের পরে হনুমান চল্লীশা পাঠ করে ঐ সিন্দুরের তিলক কপালে ধারণ করুন। অবশ্যই উপকার পাবেন।
নিজে উপকার পেলে অন্যকেও পথ দেখান। মনে রাখবেন জ্যোতিষ শাস্ত্র ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনা। কোন দোষ বা যোগ খন্ডন করা যায় না। কেবল কিছু ক্রিয়া দ্বারা গ্রহের শুভত্ব বৃদ্ধি বা হ্রাস করা যেতে পারে। এবং এর প্রভাব কতটা হবে তা নির্ভর করবে, ক্রিয়াটি কিভাবে পালন করা হল তার উপর।
বাড়িতে বসে কাজ করতে চান। তাহলে এই লিঙ্কটি ওপেন করুন।
সকলকে শেয়ার grahadosh কাটানো উপায়। সৌভাগ্যের বন্ধু পত্রিকা নিয়মিত পড়ুন।